ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায় ও ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা আলোচনা করবো। তাই যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য আজকের পোস্ট। আমাদের অনেক কারণেই বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হয়। কিন্তু ঋণ নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু শর্ত ও নিয়ম মেনে চলতে হবে।
অনেকেই মনে করেন ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া অনেক জটিল একটি প্রক্রিয়া। তাদের আজকের ভুল ধারণা ভেঙে দিবো। আপনি যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ঋণ পাওয়ার যোগ্য হন, তাহলে অবশ্যই আপনি ব্যাংক থেকে ঋণ থেকে ঋণ পাবেন। ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আর বিস্তারিত তথ্য দেখে নেই।
ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায়
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যা অনেক বেশি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতাও অনেক বেশি। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে প্রায় প্রত্যেকটা ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়া হয়।
আপনি কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিবেন ও কি ধরনের ঋণ নিতে চাচ্ছেন এটা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার উপর। কারণ আমাদের দেশের ব্যাংক হতে আপনি বিভিন্ন ধরনের ঋণ পেতে পারেন। ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায় জানার আগে আপনাকে ব্যাংক লোনের প্রকারভেদ জানতে হবে।
ব্যাংক ঋণের প্রকারভেদ
- পার্সোনাল ঋণ
- বিজনেস ঋণ
- শিক্ষা ঋণ
- প্রবাসী ঋণ
- হোম ঋণ
- কৃষি ঋণ
কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিবো?
আমাদের দেশের সরকারি বেসরকারি অসংখ্য ব্যাংক রয়েছে। আমরা সবাই চাই যে ব্যাংক সুযোগ সুবিধা বেশি দিবে সেই ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলন করতে। যেকোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার আগে আপনাকে দুটি জিনিস দেখে নিতে হবে। কোন ব্যাংক থেকে সহজে লোন পাওয়া যায় ও সুদের হার কম। এই দুটি বৈশিষ্ট্য যে ব্যাংকের থাকবে। সেই ব্যাংক থেকে আপনি ঋণ উত্তোলন করবেন। যে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার অনেক সহজ ও সুদের হার কম তাদের সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা প্রকাশ করা হলো।
ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন
আপনি যদি ব্যক্তিগত কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঋণ উত্তোলন করতে চান। তাহলে অবশ্যই ব্রাক ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে পারেন। ব্র্যাক ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন পাওয়া অনেক সহজ ও সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি। এই ব্যাংকের ইন্টারেস্ট রেট ১০% থেকে ১২% পর্যন্ত।
ইসলামী ব্যাংক লোন
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ব্যাংক হল ইসলামী ব্যাংক। আপনার যদি একটি ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট থাকে তাহলে এই ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলন করতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংক ইসলামের শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এই কারণে এই ব্যাংকের সুদের হার অনেকাংশে কম। এছাড়াও সুযোগ-সুবিধা পাবেন অনেক বেশি।
ব্যাংক ঋণ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল কাগজপত্র সংগ্রহ করা। যেকোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেডি করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলোর মধ্যে রয়েছে।
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
- যে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চাচ্ছেন, সেই ব্যাংকের ঋণ নেওয়ার আবেদন ফরম সংগ্রহ করা।
- যদি ভোটার আইডি কার্ড না থাকে, তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট।
- সরকারি চাকরিজীবী হলে অফিসের প্রত্যয়ন পত্র ও ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স।
- বিদ্যুৎ বিলের ১ কপি কাগজ।
ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়াও যদি অন্য কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে। তাহলে অবশ্যই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দেবে।
ব্যাংক ঋণের জন্য আবেদন করার নিয়ম
ব্যাংক ঋণ পাওয়ার সর্বশেষ ধাপ হল আবেদন করা। যেকোনো ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে কাগজপত্র গুলো রেডি করতে হবে। তারপর যে ব্যাংক হতে আপনি ঋণ নিতে চাচ্ছেন, সেই ব্যাংকের ঋণের আবেদন সংগ্রহ করুন।
এখন আপনি কত টাকা ঋণ নিতে চাচ্ছেন তার পরিমাণ তুলতে হবে। এরপর আপনাকে আপনার যাবতীয় তথ্য দিয়ে ঋণ নেওয়ার আবেদন ফরম ফিলাপ করতে হবে। আবেদন ফরম ফিলাপ করার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যদি সঠিক থাকে ও ঋণ নেওয়ার কারণ যদি তাদের বোঝাতে পারেন। তাহলে এক থেকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে আপনি ঋণ পেয়ে যাবেন।
শেষ কথা
আশা করি, ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়েছেন। যারা ভাবেন ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া অনেক কঠিন বিষয়। তারা আজকে পোস্ট থেকে বুঝতে পেরেছেন ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন বিষয় না। কারণ আপনার যাবতীয় কাগজপত্র যদি সঠিক থাকে এবং আপনি যদি সঠিকভাবে ঋণ নেওয়ার কারণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বলতে পারেন।
তাহলে যেকোনো ব্যাংক থেকে আপনি ঋণ নিতে পারবেন। ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনি আমাদের ব্লগে কমেন্ট করবেন। এছাড়াও ব্যাংকিং সম্পর্কে নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন।