প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হবে। তাই যারা নতুন ব্যবসা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী থেকে লোন নিতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আবেদন ও কি কি যোগ্যতা লাগবে সে সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। এজন্য অবশ্যই আপনাকে আজকের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। 

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ কারণে বাংলাদেশ সরকার নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। বাংলাদেশের নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য একটি ঋণ চালু করা হয়েছে। এই ঋণ প্রকল্পের নাম হলো “স্টার্ট-আপ ফান্ড”। এই ঋণ প্রকল্প চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্টার্ট-আপ ফান্ড থেকে আপনি ৫০০ কোটি টাকার ঋণ প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ

একজন নতুন উদ্যোক্তা চাইলে এই ঋণ প্রকল্প থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবে। এই ঋণের সুদের হার মাত্র ৪ শতাংশ। সম্পূর্ণ জামানতবিহীন ভাবে এই লোন উত্তোলন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনাকে পাঁচ বছরের মধ্যে দিনের টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে। চলুন প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও তথ্য দেখে নেই। 

প্রধানমন্ত্রী লোন কী?

সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার কর্তৃক যে ঋণ দেওয়া হয় তাকেই প্রধানমন্ত্রী লোন বলা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রধানমন্ত্রী লোন অনেক বেশি জনপ্রিয়। এই কারণে আমাদের দেশেও প্রধানমন্ত্রী লোন চালু করা হয়েছে। এ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য স্টার্ট-আপ ফান্ড নামক একটি প্রকল্প চালু করেছে। যেখান থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একজন নতুন উদ্যোক্তা জামানতবিহীনভাবে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবে। 

প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ আবেদন

প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল হলেও এই ঋণ বিতরণ করবে আমাদের দেশের সকল তফসিলি ব্যাংক। বেলুন পাওয়ার জন্য অবশ্যই একজন নাগরিককে নতুন উদ্যোক্তা হতে হবে। 

এই লোন পাওয়ার জন্য একজন উদ্যোক্তাকে তার প্রকল্পের যাবতীয় বিবরণী, পরিকল্পনা, নিজস্ব বিনিয়োগের ধরন ইত্যাদির বিস্তারিত তুলে ধরে ফর্ম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। তারপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে সন্তুষ্ট হলে প্রকল্প মূল্যায়ন করে তার ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করবে। অর্থাৎ আপনি কত টাকা ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণ করবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। 

প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ ঋণ নেওয়ার যোগ্যতা

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর লোন বাংলাদেশ চালু করা হয়েছে। এই কারণে অবশ্যই নতুন উদ্যোক্তাদের হালাতে কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আবেদনকারী নতুন উদ্যোক্তাকে সরকারি বা সরকার অনুমোদিত বেসরকারি উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, ব্যবসা পরিচালনা, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি বা অন্যান্য কারিগরি বিষয় ( পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, যন্ত্রপাতি মেরামত ইত্যাদি ) সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

ডিগ্রিধারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ বা কারিগরি প্রশিক্ষণের মূল সনদ জামানত হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখতে হবে।

প্রাতিষ্ঠানিক কারিগরি শিক্ষা না থাকলে উদ্যোক্তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ বাস্তব ভিত্তিক জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও নতুন উদ্যোগ পরিচালনার সক্ষমতা থাকতে হবে। অর্থাৎ এমন অনেক উদ্যোক্তা আছেন যাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা নেই। কিন্তু উদ্যোক্তা সংশ্লিষ্ট বিষয় তিনি ভালো জানেন। তাদের জন্য বাস্তব ভিত্তিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। 

আবেদনকারী উদ্যোক্তার বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। সরকারি ঋণখেলাপি কোন ব্যক্তি এই ঋণ নিতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনি যদি এর আগে সরকারি কোন ঋণ খেলাপি করে থাকেন। তাহলে আপনি এই ঋণের অযোগ্য বলে ঘোষিত হবেন। 

এছাড়াও জামানত হিসেবে ব্যক্তিগত গ্যারান্টি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ বা কারিগরি যোগ্যতার সনদ জমা দিতে হবে । এসব কাগজপত্র ব্যাংকে জমা রাখতে হবে।

ব্যক্তিগত গ্যারান্টি বলতে বোঝানো হচ্ছে, ব্যাংক ও গ্রাহক মিলে উভয়পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য কোন ব্যক্তির অঙ্গীকারনামা থাকতে হবে। তবে এ ধরণের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি দুইজনের বেশি নেয়া যাবে না। নারী উদ্যোক্তারাও এই ঋণের অগ্রাধিকার পাবে।কোন উদ্যোক্তা যেকোনো একটি উদ্যোগে একবারের বেশি লোন নিতে পারবেন না।

ঋণের মেয়াদ ও সুদের হার

একজন নতুন উদ্যোক্তা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত এই প্রকল্প থেকে ঋণ নিতে পারবে। এই ঋণের মেয়াদ থাকবে পাঁচ বছর। তবে গ্রাহকের প্রয়োজনে আরো সময় বৃদ্ধি পেতে পারে। এইরিনের সুদের হার মাত্র ৪%। 

শেষ কথা

এই ছিল প্রধানমন্ত্রীর লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ও সরকার নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ঋণ প্রকল্প চালু করেছে। স্টার্ট-আপ ফান্ড হরিণ প্রকল্পের মাধ্যমে একজন নতুন উদ্যোক্তা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ উত্তোলন করতে পারবে। মেয়াদ পাঁচ বছর ও সুদের হার অনেক কম।

তাই আপনি যদি একজন তরুণ উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন। তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে এই প্রকল্প থেকে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে উপরোক্ত যোগ্যতা গুলো অর্জন করতে হবে। তাহলেই আপনি খুব সহজেই আপনার চাহিদা অনুযায়ী ঋণ নিতে পারবেন। 

Leave a Comment